Low Cost Business: ক্রমাগত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক মানুষ যেমন একাধিক জীবিকায় অংশগ্রহণ করতে ব্যবসা ক্ষেত্রেকে বেছে নিচ্ছেন, ঠিক তেমনি বর্তমানে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরি না পেয়ে অনেক মানুষ ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করছেন। কিন্তু শুধু ব্যবসা করবেন ভাবলেই তো হয় না, তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি ব্যবসার আইডিয়া।
তারপর দরকার লাগে সেই ব্যবসার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পুঁজি এবং কাঁচামাল। সরাসরি মাথায় রাখতে হয় কোন ব্যবসা করলে কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম, সেই সঙ্গে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার কথা জানাবো যার মাধ্যমে ১০ টাকার জিনিস আপনি বিক্রি করতে পারবেন ১০০ টাকায় এবং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্যবসাটি আসলে কিসের?
আজকাল মানুষ ব্যবসা শুরু করার আগে প্রথমেই ভাবেন কোন ব্যবসা করলে কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি এটিও তেমনি একটি ব্যবসা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যার লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বর্তমানে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এবং ভবিষ্যতেও যে স্মার্টফোন কেনার গতি অগ্রসর থাকবে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ব্যবসায়ীও আসলে স্মার্টফোনে সংক্রান্তই। এটি আসলে স্মার্টফোনের টেম্পারড গ্লাস তৈরির ব্যবসা।
ব্যবসার উপাদানটির(টেম্পারড গ্লাস) চাহিদা কেমন?
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। সাধারণত মধ্যবিত্ত মানুষ একটি ভালো ফোন কিনতে চাইলে মোটামুটি তার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা তো খরচ করেনই। মোবাইল কেনার পরেই তারা চেষ্টা করেন ফোনের স্ক্রিন টিকে বাঁচাতে টেম্পারড গ্লাস লাগিয়ে নিতে। কারণ এই গ্লাস আলাদাভাবে লাগিয়ে নিলে কোনো সময় দুর্ঘটনাবশত যদি ফোনটি পড়ে যায় বা কোনো আঘাত লাগে তবে ফোনের আসল স্ক্রিনটি রক্ষা পায়।
সুতরাং ফোনকে রক্ষা করতে এই টেম্পারড গ্লাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অথচ এই উপাদানটিই ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জন্য প্রদান করা হয় না। ফলে যারা ফোন কেনেন তাদের আলাদাভাবে এই গ্লাসটি কিনে লাগাতে হয়। তাই বলাই বাহুল্য এই উপাদানটির চাহিদা বাজারে অত্যন্ত বেশি ।
টেম্পারড গ্লাসের ব্যবসাতে কি কি কাঁচামাল প্রয়োজন?
Low Cost Business: টেম্পারড গ্লাস তৈরির ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে প্রথমেই এর কাঁচামাল গুলিকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। এর জন্য সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো অ্যান্টি সক স্ক্রিন প্রোটেক্টর ফিল্ম এবং একটি অটোমেটিক টেম্পারড গ্লাস মেকিং মেশিন। যেহেতু এই মেশিনটি একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কাজ করে তাই এর মধ্যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে। যেহেতু আপনি টেম্পারড গ্লাস প্যাকিং করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্যবসা করছেন তাই আপনাকে গ্লাসটি প্যাকিং করার জিনিসপত্র গুলিও কিনতে হবে।
টেম্পারড গ্লাস তৈরি করতে কত খরচ হবে?
অন্যান্য ব্যবসার মতো এই ব্যবসাটিও শুরু করার আগে ব্যবসার একটি লাইসেন্স তৈরি করে নিতে হবে। তার জন্য প্রথমেই এই ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়াও টেম্পারড গ্লাস তৈরির মেশিন কিনতে মোটামুটি ১ লাখ টাকা খরচ হবে। সেই সঙ্গে আরো পার্শ্ববর্তী কিছু খরচ ধরে মোট ১.৫০ লাখ টাকা হলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
টেম্পারড গ্লাস ব্যবসা থেকে কত উপার্জন হতে পারে?
এক একটি টেম্পারড গ্লাস তৈরি করতে মোটামুটি খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমান বাজারদর হিসেবে ১০ থেকে ১৫ টাকায় এটি তৈরি করে আপনি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করতে পারেন। আপনার তৈরি করা টেম্পারড গ্লাসটি যদি আরো উন্নত মানের হয় তবে এর থেকে আরও কিছুটা বেশি টাকা আপনি লাভ করতে পারেন। মোটামুটি ভাবে বলা যায় একটি গ্লাস থেকে আপনি কমপক্ষে ৮০ টাকা লাভ করতে পারবেন।
ফোনে কি ধরনের গ্লাস ব্যবহার করা হয়?
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন মানের বিভিন্ন ধরনের গ্লাস দেখতে পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্লাস্টিক গার্ড, স্ক্রিন গার্ড, 2D, 3D, 4D, 5D, 9D, 11D ইত্যাদি। এগুলির প্রত্যেকটি কোয়ালিটি এবং দাম ভিন্ন ভিন্ন। এগুলি সবকটি ফোনের জন্য ব্যবহৃত হলেও 2.5 D গ্লাসটি স্মার্ট ফোনের জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়।
আমাদের ওয়েবসাইটের নিউজগুলো মিস করতে না চাইল আমাদের Whatsapp এবং Telegram গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
আরও পড়ুন:
পড়াশোনার পাশাপাশি যদি টাকা রোজগার করতে চান, তাহলে এই ৬টা Part Time Jobs আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।