New Pension Scheme: প্রতিটি কর্মজীবী মানুষেরই একটি চিন্তা থাকে যে, কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর গ্রহণ করার পর তার অর্থনৈতিক সুস্থিরতা কিভাবে বজায় থাকবে। কারণ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন অবসরের পর তাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা থাকলেও, বেসরকারি বিভিন্ন স্থানে সেই সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না। অথচ বর্তমানে দেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। এবার এই বেসরকারি কর্মীদের কথা চিন্তা করেই সরকার বিভিন্ন পেনশন স্কিম নিয়ে হাজির হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন বহু মানুষ।
কারা এই পেনশনের সুবিধা পাবেন?
New Pension Scheme: মূলত যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের অবসর গ্রহণের পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। কারণ চাকরি দেখে অবশ্যই গ্রহণের পরেই তাদের পেনশন প্রকল্প চালু হয়ে যায়। কিন্তু যারা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তাদের এই দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হতে হয় যে অবসর গ্রহণের পর তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কিভাবে আসবে।
কারণ স্বাভাবিক ভাবেই জমানো অর্থ দিয়ে বেশিদিন দিন যাপন করা সম্ভব হয় না। এই চিন্তা থেকেই তারা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করারও পরিকল্পনা করেন। আবার কোথায় বিনিয়োগ করলে ভালো পরিমাণ রিটার্ন পাওয়া যাবে তা নিয়েও দলাচলতায় থাকেন অনেকে। কিন্তু তাদের এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই সরকার চালু করেছে বিশেষ পেনশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা প্রতি মাসে পেনশনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে এই পেনশনের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিকে সরকারের অধীনস্থ কয়েকটি প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
সরকারের পেনশন প্রকল্প গুলি কি কি?
1. এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম(EPS)- যেসব ব্যক্তিরা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তাদের জন্য সরকারের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম অত্যন্ত উপযোগী। সরকারি এই প্রকল্পটির মাধ্যমে অবসরের পর EPF এর সদস্যরা পেনশনের সুবিধা লাভ করতে পারেন।
2. ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম(NPS)- বেসরকারি কর্মচারীদের পেনশন পাওয়ার একটি দুর্দান্ত স্কিম হলো ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। এটি মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদী সেভিংস স্কিম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি কর্মচারীরা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে চড়া সুদের ধারে অর্থ রিটার্ন পেতে পারেন। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ স্কিম হওয়ায় এর সুবিধা পেতে সুবিধাভোগীকে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ করে যেতে হবে এবং প্রকল্পটি চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
3. অটল পেনশন যোজনা(APY)- বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে এই পেনশন স্কিমটি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই স্কিমটির মাধ্যমে সাধারণত কম আয়ের ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হয়। অটল পেনশন যোজনা প্রকল্পটির সুবিধা উপভোগ করতে হলে 18 থেকে 40 বছর বয়সের মধ্যে এই প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ নির্ভর করবে বিনিয়োগকারীর বয়সের ভিত্তিতে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি 18 বছর বয়স থেকে মাত্র 7 টাকা করে বিনিয়োগ করেন এবং এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে 60 বছর পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যান, তবে 60 বছরের পর তিনি মাসিক 5000 টাকা করে পাবেন।
তবে বেশি বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে যদি বেশি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেন তবেই তিনি সমপরিমাণ অর্থ পেনশন হিসাবে পাবেন। কম টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই পেনশনের পরিমাণ কমবে। তবে সাধারণত এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী সহজেই মাসিক কিস্তিতে 1000 টাকা, 2000 টাকা, 4000 টাকা বা 5000 টাকা পেনশন পেতে পারেন। আর প্রতিমাসে এই পরিমাণ অর্থ লাভ করলে অবসর গ্রহণের পর তার অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা দূর হয়।
সরকারি সুবিধা এবং গুরুত্বপূর্ণ খবর মিস করতে না চাইলে আমাদের Whatsapp এবং Telegram গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
আরো পড়ুন:
Post Office: এই বিষয়টা নিয়ে সচেতন না হলে খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে আপনার পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট