Weight Loss Tips: সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে চা কফি হোক বা অন্য কোন স্বাস্থ্যকর পানীয়, আপনি যাই পান করেন না কেন তা আপনার শরীরের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। এমন অনেক পানীয় রয়েছে যেগুলি নাকি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে! মনে রাখা দরকার, এমন কোন একক পানীয় নেই, যা আপনার ওজন খুব দ্রুত কমিয়ে ফেলতে পারে।
ওজন হ্রাস একটি জটিল প্রক্রিয়া। সুষম খাদ্য, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারাই পারে ওজন সঠিক রাখতে। তবে এমন বেশ কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলি কিনা সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করে আপনার বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করতে পারে। এমন বেশ কিছু পানীয়ের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে, সম্পূর্ন প্রতিবেদনটি পড়ুন….
উষ্ণ লেবু জল
Weight Loss Tips: এক গ্লাস উষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে বিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয় এবং হজম ভালো হয়। দিনের শুরু থেকে একদম পরের দিন সকাল পর্যন্ত এই পানীয় শরীরকে রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর একটি দারুণ উৎস হলো লেবু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার পাশাপাশি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এর ক্যাটেচিন, বিশেষ করে EGCG, বিপাক বৃদ্ধি করতে সক্ষম। যা ওজন সঠিক রাখতে সাহায্য করে। গ্রীন টি নিয়মিত সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং অ্যালজাইমা এবং পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। গ্রীন টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, মুখের স্বাস্থ্যকে উজ্জ্বল রাখতে এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফি কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয়। এতে ক্যাফিন, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফির নিয়মিত সেবন টাইপ 2 ডায়াবেটিস, পারকিনসন এবং কিছু ধরণের ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি লিভারের স্বাস্থ্যকেও সুরক্ষিত রেখে বিপাক বৃদ্ধি এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে অত্যাধিক ব্ল্যাক কফি সেবন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
দারুচিনি চা
দারুচিনি চা হল একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। দারুচিনি চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধী ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। গবেষণা বলছে, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে পারে।
অ্যালোভেরা জুস
Weight Loss Tips: অ্যালোভেরার জুস স অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম সহ হজমের সমস্যাকে প্রশমিত করে। এই রস ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, প্রদাহ কমায় এবং ইমিউনো সিস্টেমকে ভালো রাখে। অ্যালোভেরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
চিয়া বীজ ভেজানো জল
চিয়া বীজ ভেজানো জল একটি পুষ্টিকর পানীয়। এই বিশেষ ধরনের বীজ জলে ভিজিয়ে রাখলে জেলের মতো একটি টেক্সচার তৈরি করে। এটি হাইড্রেশনকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ বীজ জল শোষণ করে এবং ধীরে ধীরে ছেড়েও দেয়। চিয়া বীজ ফাইবার, ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। হজমের সমস্যা, প্রদাহ কমাতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে চিয়া বীজ।
হলুদ কালো মরিচ জল
হলুদ আর কালো মরিচের জল খুব উপকারী। এই পানীয় প্রদাহ কমাতে, জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদের সক্রিয় যৌগ, কারকিউমিন, দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা যোগায়, হজমে সহায়তা করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কালো মরিচের কারকিউমিন শোষণ বাড়ায়। হলুদ মরিচ জল বিপাক বৃদ্ধি করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন:
Weight Loss Tips:ব্যায়াম ছাড়াই সহজ উপায়, এবার জেনে নিন ওজন কমানোর রহস্য
Health Benefits:পেঁয়াজর সঙ্গে এটা মিশিয়ে খেলে পাবেন ডাইবেটিস থেকে মুক্তি